ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভার সিসি রাস্তা ধসে মাতামুহুরী খালে, যান চলাচলে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক :: চকরিয়া পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডে মাটি ধসে সিসি রাস্তা মাতামুহুরী নদী তলিয়ে গেছে। সম্প্রতি ওই ওয়ার্ডের পশ্চিম বাটাখালী নয়াপাড়া গ্রামে অতিবৃষ্টির ফলে এই ধসের সৃষ্টি হয়। রাস্তা ধসে যাওয়ার ২০দিন পার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ ধস ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এতে এই রাস্তা পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চকরিয়া পৌরসভার পশ্চিম বাটাখালীর নয়াপাড়া ও জলদাশপাড়ার মধ্যে এই রাস্তা। রাস্তাটির নয়াপাড়ার বাটাখালী ছড়াটি মাতামুহুরী নদীতে মিলিত হয়েছে। সে ছড়া দিয়ে পৌরশহরের পানি নিষ্কাশন পথ হিসেবে ব্যবহার হয়। রাস্তাটির নয়াপাড়া অংশ ধসে গিয়ে নদীতে তলিয়ে গেছে।

ফলে শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। ধসে পড়ে রাস্তাটির মাঝখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন গর্তের আকার বড় হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার করার উদ্যোগ না নিলে এই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক পৌরসভার একজন কাউন্সিলর বলেন, ‘২০১৬-১৭ অর্থ বছরে পৌর রাজস্ব থেকে ৩০লক্ষ টাকা ব্যয়ে সিসি রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। রাস্তাটি পশ্চিম বাটাখালী মনুর বাড়ি থেকে জলদাশপাড়া হয়ে নয়াপাড়া পর্যন্ত নির্মাণ করে। প্রায় এক বছর পর ২০১৮সালে রাস্তাটির নির্মাণকাজ কাজ শেষ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। তিন বছর পর রাস্তাটি ধসে যায়। মূলত রাস্তাটি নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ছিল। এই রকম ২৫টি কাজ হয়েছে। যেগুলো নামেমাত্র কাজ করে একটি সিন্ডিকেট টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’

স্থানীয় আলী আকবর বলেন, ‘রাস্তাটি নির্মাণ করেছে তিনবছর হচ্ছে। ৩০লক্ষ টাকার কাজ তিনবছরই ঠিকেনি। শুনছি আরসিসি ঢালাই করা হবে। এসব রাস্তা করে লাভ জনগণের হচ্ছে না।’

কৃষক কামাল উদ্দীন বলেন, ‘কৃষি চাষ করে পরিবার চালাই। উৎপাদিত কৃষিপণ্য নিয়ে এখন চার কিলোমিটার ঘুরে পৌর সদরে যেতে হচ্ছে। ভাড়ার চেয়ে ভোগান্তি দ্বিগুণ হচ্ছে। রাস্তাটির দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চাই।’

চকরিয়া পৌরসভার সচিব মাস-উদ মোর্শেদ বলেন, ‘আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করার জন্য রাস্তাটির টেন্ডার হয়েছে। এ বিষয়ে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ বিস্তারিত জানতে পারবেন।’

গতকাল শনিবার দুপুর একটা থেকে ২টা পর্যন্ত এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী মুঠোফোন নম্বরে চারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে তাঁকে প্রতিবেদকের পরিচয় দিয়ে খুদে বার্তা পাঠানো হয়। তাতেও তিনি সাড়া দেননি।

পাঠকের মতামত: